‘আমি শিগগিরই ফিরে আসব’ মাকে চুমু দিয়ে বলেছিলেন শহীদ ইফাত

 ‘আমি শিগগিরই ফিরে আসব’ মাকে চুমু দিয়ে বলেছিলেন শহীদ ইফাত



বৈষম্য বিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে শহীদ ইফাতে হাসানের (১৬) মা আজও প্রিয় পুত্রের শেষ মুহূর্তের আবেগময় স্মৃতি আঁকড়ে বেঁচে আছেন।


উদ্ভ্রান্তের মতো এক ঘর থেকে অন্য ঘরে যাচ্ছিলাম, তখন আমাদের আগের ভাড়া বাড়ির মালিক ফোনে আমার মেয়েকে জানায় যে ইফাতকে পুলিশ গুলি করেছে এবং তাকে সালমান হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।’


সে সময় তার বড় মেয়ে উম্মে সালমা তাকে জানান, ইফাতের পায়ে সামান্য আঘাত লেগে থাকতে পারে।


কামরুন নাহার অশ্রুরুদ্ধ কণ্ঠে বলেন, ‘আমরা নিচে নামার আগেই দেখলাম ইফাতের বন্ধুরা তাকে হাসপাতাল থেকে বাসায় নিয়ে আসছে।’


প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে তিনি বলেন, পুলিশ ইফাতের লাশ ছিনিয়ে নিতে চাইলে তার সহযোদ্ধারা বাধা দিয়ে তাকে হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।


সালমান হাসপাতালের ব্যবস্থাপক সুরভি সোহানা বাসসকে বলেন, ইফাতকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। কিন্তু যেহেতু কেউ তার পরিচয় নিশ্চিত করতে পারেনি, তাই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ইফাতের একটি ছবি তুলে বিক্ষোভকারীদের কাছে পাঠায়। তিনি বলেন, তার পরিচয় নিশ্চিত হওয়ার পর বিক্ষোভাকারীদের সহায়তায় তার লাশটি বাড়ি পাঠানো হয়। সালমান হাসপাতালটি ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক সংলগ্ন শনির আখড়া বাস স্টপেজের কাছে অবস্থিত। ১৬ জুলাই মো. আবু সাঈদসহ আরো ৬ জন বিক্ষোভকারী শহীদ হওয়ার পর ১৭ জুলাই থেকে এলাকাটি রীতিমতো একটি যুদ্ধক্ষেত্রে পরিণত হয়।

Comments

Popular posts from this blog

একসঙ্গে ধেয়ে আসছে শক্তিশালী ৪ ঘূর্ণিঝড়, ৭৪ বছরের ইতিহাসে বিরল ঘটনা

সর্বকালের সব রেকর্ড ভাঙল স্বর্ণের দাম

নতুন উপদেষ্টা বিরুদ্ধে মশাল মিছিল!